জামায়াত দেশকে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় : সেলিম উদ্দিন
Share on:
জামায়াত দেশকে গণমূখী ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত মহানগরীর সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আরো ১টি ফ্রিজিং লাশবাহী এম্বুলেন্স ও ১টি এয়ারকন্ডিশন এম্বুলেন্স-এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও তুরাগ উত্তর থানা সেক্রেটারি মতিউর রহমান প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেছেন, গণমানুষের কল্যাণের দায়িত্ব দিয়েই আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কালামে পাকে বলা হয়েছে, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি; তোমাদেরকে কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।’ আর আল্লাহ তায়ালার সে নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক কল্যাণের জন্য আজ আমরা আমাদের জরুরি এম্বুলেন্স সার্ভিসে নতুন ২টি এম্বুলেন্স যুক্ত করতে পেরে মহান আল্লাহ তায়ালা শুকরিয়া ও সুধীজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
বিপন্ন মানুষের কল্যাণে আমাদের এই ধরনের কল্যাণকামী ও গণমুখী তৎপরতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি আর্ত-মানবতার মুক্তির জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
মহানগরী আমীর বলেন, মূলত, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ। আমরা সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই মানুষের সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দেশে নৈতিক মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, বেকার ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বয়স্ক, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তাদের পূনর্বাসান, দরিদ্র ও অসহায় এবং বিপদগ্রস্ত মনুষের মধ্যে মানবিক সাহায্য বিতরণ করে যাচ্ছি।
গণমানুষের আধ্যাত্মবোধ জাগ্রতকরণ, মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টিও আমাদের কল্যাণমূলক কর্মসূচির আওতাভূক্ত। সর্বপরি আমরা দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতেও আপোষহীন। তিনি সেই স্বপ্নের ও শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি দেশ ও জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে। আর এই ফ্যাসীবাদী ও বাকশালী সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় না করতে পারলে তারা দেশকে লুটপাট, দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতন, ভোট ডাকাতি, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের অভয়ারণ্যে পরিণত করবে।
তাই এই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের জন্য কার্যকর ও যুগপৎ গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। কোন বিচ্ছিন্ন ও অপরিকল্পিত আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটনো সম্ভব নয়। তিনি কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন এবং তা কার্যকর লিয়াঁজোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সকল মুক্তিকামী- আন্দোলনকারী দল ও জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। অন্যথায় জাতির মুক্তি মিলবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি মানবিক মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। একই সাথে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের মানবিক সেবার মধ্যে কোন ব্যবসায়িক মানসিকতা নেই।
আমাদের ব্যবহার নিখুঁত ও সুন্দর হওয়া দরকার, যাতে আমাদের চরিত্রমাধুর্য্য দেখেই মানুষ মুগ্ধ হয়। জামায়াতে ইসলামী যে নতুন কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করছে সেটা হলো-একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তিনি সেই কাঙ্খিত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এইচএন