ধামরাইয়ে দুই চেয়ারম্যানসহ ২০০ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
Share on:
ঢাকার ধামরাইয়ে সাবেক উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানসহ দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে হত্যার চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিনের এজলাসে নামীয় বিরানব্বই জন ও অজ্ঞাতনামা এক-দেড়শ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার অন্তর্গত কাঁঠাল শিমুল গ্রামের মোহাম্মদ জালাল তালুকদারের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল তালুকদার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানা গেছে। জুয়েল রানা বর্তমানে ঢাকা জেলার ধামরাই পৌর শহরের নতুন দক্ষিণপাড়া মহলার মোহাম্মদ রবিউল ইসলামের বাড়িতে রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন বলে মামলার বাদী ও সাক্ষীরা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে মামলার অন্যতম বিবাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মিজানুর রহমান মিজোর নেতৃত্বে ৪-৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণ করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমিসহ অনেক আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হই। এরপর চিকিৎসাসেবা শেষে মঙ্গলবার আমি বাদী হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জাজ আদালতে নামীয় বিরানব্বই জনসহ দুই শতাধিক আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ মামলার বিষয়ে দুদিনে সহস্রাধিক ভুল পেয়েছি। বিভিন্ন জন ফোন করে একদম ঝালাফালা করে ফেলেছে। এ মামলাটি নিয়ে আমি খুবই প্যারায় রয়েছি। মামলাটি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএইচ