যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছে হামাস
Share on:
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস। গোষ্ঠীটির এক নেতা জানিয়েছেন ইসরায়েলিদের ‘গণহত্যা’ এবং আলোচনার ক্ষেত্রে তাদের বিরূপ আচরণের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
হামাসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেছেন, তাদের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়া আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের বলেছেন, ‘দখলদাররা আলোচনায় সিরিয়াস নয়। তারা বাধা এবং গড়িমসির নীতি অবলম্বন করছে এবং আমাদের নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষদের গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে আমরা আলোচনা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
গতকাল শনিবার গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া আল-মাওয়াসি এলাকায় প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের এই হামলায় সেখানে ৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এই হামলাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে হামাস। তারা বলেছে সাধারণ মানুষের উপর সবার সামনে বর্বর হামলা চালিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে লক্ষ্য করে আল-মাওয়াসির এক ‘উন্মুক্ত এলাকায়’ হামলা করা হয়েছে। ওই এলাকায় কেবল হামাসের সদস্যরা ছিলেন। সেখানে কোনও বেসামরিক লোকজন ছিলেন না।
খান ইউনিসে হামাসের কমান্ডার রাফা সালামাকেও এই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা।
তবে নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার ইসরায়েলি দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছে, ফিলিস্তিনি নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার ইসরায়েলি দাবি এটাই প্রথম নয়। অতীতেও তাদের এমন দাবি অসংখ্যবার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে জানানো হয়েছে মোহাম্মদ দেইফ ভালো আছেন এবং তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন।
আল মাওয়াসিতে হামলার পরই যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী।
এমএইচ