বইছে শৈত্যপ্রবাহ, শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে
Share on:
দেশের চলমান শীতের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। একযোগে আট অঞ্চলে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ।
শুধু তাই নয়, ঢাকায় তাপমাত্রা একদিনেই দুই ডিগ্রি কমেছে। শীত পরিস্থিতির এই অবনতি আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
বিএমডির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
এই শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গল ও বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে।
বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড চলে যায় যশোরে। শ্রীমঙ্গলের মতোই যশোরে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি। তাপমাত্রার পার্থক্য দাঁড়ায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের অনুভূতি ছিল তীব্র।
বিএমডির আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহের অন্যতম কারণ হলো বাতাসের গতি এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়া।
এছাড়া কুয়াশার প্রকোপ, সূর্যের স্বল্পস্থায়ী কিরণকাল কিংবা একেবারেই সূর্যের মুখ দেখতে না পাওয়ার ওপরও শীতের তীব্রতা নির্ভর করে। বাতাসের গতি বেশি থাকলেও শীতের অনুভূতি বেশি মনে হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বার্তায় বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সংস্থাটির পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্যের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, কনকনে ঠান্ডায় গরিব, অসহায়, ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। অনেকে ছুটছেন পুরোনো কাপড়ের দোকানে। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগবালাই।
এন