লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি

দেশের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিছে মালিক সমিতি।

আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত এ চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আগে বহুবার লঞ্চের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও আপনার দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

আগামী ৮ নভেম্বর ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি একটি সভা আহ্বান করেন।

কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেন এবং ওই দিন রাত ১২টা থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই পরিস্থিতিতে জাহাজ পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। সংগত কারণে সারাদেশে লঞ্চ মালিকরা যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য সংস্থাকে অনুরোধ করেন। অন্যথায় জাহাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে তেলের মূল্য বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের নিয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার এক পর্যায়ে ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়ে আপনার সাথে মোবাইলে কথা হয়।

আপনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামীকাল অর্থাৎ ৬ নভেম্বর দ্বি-প্রহরের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে আপনার সিদ্ধান্ত প্রদান করার প্রত্যয় মালিকদের জানানো হয়। আপনি একই টেলিফোনে আমাদের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য আমাকে অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা লঞ্চ ভাড়া শতভাগ বাড়াতে চাই।

এজন্য একটি প্রস্তাবনাযুক্ত চিঠি অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এখন তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।

আগামীকাল শনিবার ( ৬ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত আমরা দেখব, এরপর নিজেরা বসে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করার পরদিনই বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়।

তেলের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে সারা দেশে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছে।

এইচএন