ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুর্কি বিমান হামলায় ৮ পর্যটক নিহত
Share on:
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই পর্যটক। এছাড়া হামলায় আরও ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তা ও ইরাকি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বুধবার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় জাখো জেলার মেয়র মুশির মোহাম্মদ বুধবার বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি-চালিত অঞ্চলের জাখো জেলার বারখের রিসোর্ট এলাকায় অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। হতাহতরা সবাই ইরাকি নাগরিক।
জাখো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমির আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী ও দুই শিশু। অবশ্য বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯ বলে জানিয়েছে আরেক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এছাড়া নিহতদের বেশিরভাগই পর্যটক বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।
আলজাজিরা বলছে, গ্রীষ্মের মাসগুলোতে শত শত ইরাকি পর্যটক দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে কুর্দি অঞ্চলে ভ্রমণ করে থাকে। কারণ এই সময়টিতে উত্তরাঞ্চলে আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শীতল থাকে। অন্যদিকে জাখোর পর্যটন স্থানগুলো তুরস্কের সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি অবস্থিত।
এদিকে বিমান হামলা ও হতাহতের ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠানোর পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি।
আল-কাদিমি টুইটারে লিখেছেন, ‘তুর্কি বাহিনী ইরাকের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।’
অবশ্য তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে হতাহতের কথা শুনে আঙ্কারা দুঃখিত হয়েছে। তবে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে দেশটি। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইঙ্গিত, এটি সন্ত্রাসবাদীদের কাজ হতে পারে।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সত্য বেরিয়ে আসার জন্য তুরস্ক প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তুরস্কের প্রতিটি সামরিক অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল এবং তুরস্ক তার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বেসামরিক হতাহতের বিষয়টি এড়াতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
এদিকে বুধবার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বেসামরিকদের হত্যা অগ্রহণযোগ্য এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাসহ সকল রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করতে হবে।’
এমআই