শাবিপ্রবি ভিসির বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন
Share on:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ঘোষণা দেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে। উপাচার্যের বাসভবনে কেবল পুলিশ ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারবে না। ভবিষ্যতে তারা বাসভবনের জরুরি পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
নাফিজা আনজুম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেব না। আমরা এখানে বসে অনশন করছি, আর সবাই গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করবেন, সেটা হয় না। এ কারণে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে এক অনশনকারীর পরিবারের সদস্য হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ি ফিরে গেছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই দিন রাতে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ’ ছাত্রী।
এরপর ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পর দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। এরপর ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে দাবি আদায়ে অনশনে করছেন ২৮ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ১৩ জন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন করছেন।
এইচএন