নয়া পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জামায়াতের নিন্দা
Share on:
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, ৭ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানী ঢাকার পল্টন এলাকায় বিএনপির অফিসের সামনে তাদের সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ, হামলা, লাঠিচার্জ ও গুলি করে। এমনকি আশেপাশের ভবনগুলোতে প্রবেশ করে সেখানে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে। দুপুরের পর থেকে পুলিশের হামলায় গোটা এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। পুলিশের গুলিতে দুইজন নেতা নিহত হন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সাথে এ হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই বীভৎস তাণ্ডবের নিন্দা জ্ঞাপনের ভাষা আমার জানা নেই।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জোর করে ক্ষমতা দখলকারী গণধিকৃত এই সরকার ক্রমেই বেসামাল হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট, দুঃশাসন এবং জুলুম-নিপীড়নের কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা ভাবছে জুলুম-নিপীড়ণ চালিয়ে এবং সভা-সমাবেশে বাধা দিয়ে জনস্রোত বন্ধ করা যাবে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, দেশের জনগণ ১৪ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশের আপামর জনতা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। সুতরাং কোনো ধরনের জুলুম-নিপীড়ন, দাংগা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে এবং গুলি চালিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জনগণের দাকি আদায়ের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা অবিলম্বে এ সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে রাজনৈতিক দলসমূহের সভা-সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করার এবং সারা দেশে গ্রেফতার হওয়া সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে দেশে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
এমআই