আদালতকে জানিয়ে বিদেশ যেতে হবে ড. ইউনূসকে
Share on:
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬ মাসে সাজার রায় ও আদেশ স্থগিতের আদেশ অবৈধ বলে বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে। একই সঙ্গে ড. ইউনূসকে বিদেশ যেতে আদালতকে অবহিত করতে হবে।
সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। আর কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
শুনানি চলাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, কোনো বিদেশি কূটনীতিক যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে মন্তব্য করেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় আছে কি না। জবাবে কলকারখানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ অবৈধ
মো. খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টকে আরও বলেন, ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। আমি তাকে আদালতে হাজির করার জন্য বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাচ্ছি না। তবে জেনেভা কনভেনশেন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। তারপরও বিষয়টি কোর্টের ওপর ছেড়ে দিলাম।
এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন হাইকোর্টকে বলেন, বাদীপক্ষের আইনজীবী কোর্টের মাথায় লবণ রেখে বরই খেতে চান। পিটার হাসের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে জতিসংঘ, শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিক যারা ইউনূসের মামলা নিয়ে বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন, তাদেরও এ মামলায় আনতে হবে। আর এটা করলে কী হবে, তা সবাই জানে। বাদীপক্ষের আইনজীবী কোনো রকম ট্রেনিং ছাড়াই মামলা পরিচালনা করছে, এতে সরকার ও আদালত সবারই ক্ষতি করছে।
এমএইচ