tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৩০ পিএম

রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে জার্মানি


২

ইউক্রেনে কয়েকশ যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া, তার প্রমাণ পেয়েছে জার্মানি। তদন্তকারীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে জার্মান সংবাদপত্র। জার্মানির ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস (বিকেএ) ৩৩৭টি সূত্র পেয়েছে, যা দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব।


সংবাদপত্র ওয়েল্ট অ্যান সনট্যাগ এই খবর দিয়েছে। ২০২২ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকারি তথ্য দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা ৯০ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে এসেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা কী ধরনের অত্যাচার করেছে।

এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকিরা ইউক্রেনে থাকা জার্মান নাগরিক। সংসদীয় প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এই তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।

অ্যামেরিকায় যেমন এফবিআই, জার্মানিতে তেমনই বিকেএ। তারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তদন্তে ফরেনসিক সাহায্যও করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিয়েভের কর্তৃপক্ষের কাছে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট ও পাকাপোক্ত তথ্যপ্রমাণ আছে।

বার্লিন এখনও পর্যন্ত কিয়েভকে এর জন্য এক কোটি ১৫ লাখ ইউরোর গাড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি দিয়েছে।

জার্মান বিচারমন্ত্রী বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো যারা এই রক্তাক্ত যুদ্ধ শুরু করেছেন, তাদের আদালতে জবাব দিতে হবে। ইউক্রেনের মাটিতে যারা আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

জার্মানির ফেডারেল পাবলিক প্রসিকিউটার পিটার ফ্র্যাঙ্ক তদন্ত শুরু করেছেন। জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কহীন মানবতার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ হলে ফ্র্যাঙ্ক তার আইনি বিষয়টি দেখেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সময় বুচাতে গণহত্যার ওপর তারা জোর দিচ্ছেন।

কিয়েভেরও বক্তব্য, বুচাতে রাশিয়ার সেনা এক হাজার চারশজন ইউক্রেনের নাগরিককে হত্যা করে। গত বছর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে বুচার গণহত্যা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখা এবং সাংবাদিকদের অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে যথেষ্ট বাড়াবাড়ি করেছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের এক সেনার মাথা কাটার ভিডিও যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে। ইউক্রেনের প্রসিকিউটার জেনারেল জানিয়েছেন, তারা রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ ও অত্যাচারের ৭৭ হাজার অভিযোগ তদন্ত করে দেখছেন।

এমআই