সরকার বিচারের নামে প্রহসন করছে : ফখরুল
Share on:
সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচনের হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন নিষেধাজ্ঞাসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে ও দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে, তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে বুধবার আটক করা হয়েছে, তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ ও পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরোনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন হাজারও নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে সমর্থন করে কথা বলছেন ও গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করব, আপনারা জনগণের কাতারে আসুন, জনগণ কী চায় তা শুনুন।
এবি