তুরস্কের রান-অফ নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি
Share on:
তুরস্কে আজ রোববার (২৮ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে রান-অফ নির্বাচন। আগামী পাঁচ বছর রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নাকি কেমাল কেলিচদারোগলো দেশ শাসন করবেন এ প্রশ্নে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই রান-অফ নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি গত ১৪ মে যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনে যত মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, রান-অফে ভোটের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৪ নভেম্বর একসঙ্গে দেশটির সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সময় সংসদ সদস্য পদেও ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা। কিন্তু এবার যেহেতু শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিতে হচ্ছে ফলে অনেকে আগ্রহ নিয়ে ভোট দিতে আসছেন। এছাড়া যারা আসছেন তারাও খুব দ্রুত ভোট দিতে পারছেন।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরই ভোটারদের সারি দীর্ঘ হতে থাকে।
ইস্তাম্বুল থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক সিনেম কোসেগলো বলেছেন, ’১৪ মের ভোট ছিল তিন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেঁছে নেওয়া, সঙ্গে ছিল সংসদীয় নির্বাচন। আর ওই সময় ভোটের লাইনেও ধীরগতি দেখা যায়, কারণ সাধারণ মানুষ বিশাল ব্যালটে ভোট দিতে সমস্যায় পড়ছিলেন।’
এদিকে গত ১৪ মে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় এতে শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সিনান ওগান, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং কেমাল কিলিচদারোগলো। তাদের কেউই নির্বাচনে এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়। এতে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া এরদোয়ান ও কেমাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রান-অফ নির্বাচনের জন্য যে ব্যালট তৈরি করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এরদোয়ান ও কেমালের ছবি রয়েছে। আর নিচে দুটি বৃত্তাকার ঘর রয়েছে। ভোটাররা ভোট প্রদান করে ব্যালটটি একটি খামে ঢুকিয়ে সেটি বাক্সে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোটারের ৮৮ শতাংশ তাদের ভোট প্রদান করেন। মানে ওই সময় প্রায় ৮০ লাখ ভোটার ভোট দেননি।
যারা প্রথম ধাপে ভোট দেননি তাদের মধ্যে অনেকে এবার ভোট দেবেন এবং একটি পার্থক্য গড়ে দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা
এমআই