মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য
Share on:
রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন জব্দ তালিকার সাক্ষী পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। এসময় পরীমণির পক্ষে হাজিরা দেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি। এরপর জব্দ তালিকার সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। এসময় জেরার জন্য সময়ের আবেদন করেন আসামিপক্ষ। আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ১২ মে পরীমণির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে গত ২ জুন পরীমণির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন আদালত।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে সংস্থাটি।
পরে তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ওই লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে।
আরও বলা হয়, এ মামলার পরীমণি দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার ব্যাপারে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন পরীমণি।
এমআই