tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
বিনোদন প্রকাশনার সময়: ১৫ মে ২০২৩, ১৩:২৯ পিএম

বুবলীর অবৈধ সম্পর্ক আছে : শাকিব খান


sakib-khan

শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর সর্ম্পকের টানাপোড়েনের কথা সবারই জানা। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে বুবলী বলে আসছিলেন শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিকঠাক আছে।


কিন্তু বুবলীর কথা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে বিষয়টি পরিস্কার করলেন শাকিব খান। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই সুপারস্টার বলেন, বুবলী এখন আমার স্ত্রী নয়, এ কথা কতবার বলব।

শাকিব খান বলেন, আমি কিছু বলতে চাই না। সে যখন বলছে আমাদের মধ্যে এখনো সম্পর্ক রয়েছে তাহলে সে-ই প্রমাণ দিক।

বুবলী ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করছে বলে দাবি করে শাকিব খান বলেন, সে আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম সবই করেছে। আমিও তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেওয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানাজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে। একই সঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলো। হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব! কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে কনটিনিউ করা যায় আপনারাই বলুন।

বুবলীকে ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের উল্লেখ করে শাকিব খান বলেন, পার্সোনাল বিষয়কে আমি কখনো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে চাই না। তাই কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু বুবলীকে তো কাউকে বলতে বারণ করিনি। সে কেন তখন এ নিয়ে কিছু বলল না। সে এতটাই ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের যে, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে জয়ের জন্মদিনে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে আমাকে বিব্রত ও ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করল। একই সঙ্গে নানাজনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের স্ক্যান্ডাল চাপা দিতেই সে তখন হুট করে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে বসল। তার মনে যদি কোনো দুষ্ট বুদ্ধি না থাকত তাহলে সে তো আগেই এই ছবি প্রকাশ্যে আনতে পারত। এখন আবার কোন স্বার্থ হাসিল করতে আমার সঙ্গে সম্পর্কের কথা তুলে সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে?’

অপুর সঙ্গে বিয়ে নিয়েও মুখ খুলেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘সবাই জানে আমার ও অপুর বিয়ের কথা। অথচ সে জানে না, এটি চরম মিথ্যা ছাড়া আর কি হতে পারে। এ নিয়ে তখন তো অপু তাকে গালাগালও করেছে। একজন লোকের বিয়ে করা বউ থাকার পর কী সে আরেকটি বিয়ে করতে পারে। বুবলী তো নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে শুধু সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। এখনো সে নিজেকে আমার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। আবারো বলছি, সে প্রমাণ করে দিক সে আমার স্ত্রী। বুবলী এখন আমার স্ত্রী নয়, এ কথা আমি আর কতবার বলব।’

বিয়ে এবং ডিভোর্স নিয়ে প্রমাণ করতে বলেন শাকিব খান। তার ভাষায়— ‘সেই (বুবলী) বলুক। সে এখনো নিজেকে আমার স্ত্রী দাবি করছে, তাহলে সেই বিষয়টি প্রমাণ করে দিক।’

এদিকে বুবলীকে বাসা থেকে বের করেও দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে শাকিব খান বলেন, ‘আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারো সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিনক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। শেহজাদের জন্মদিনেও সে জোর করে আমার বাসায় এসেছে। শেহজাদকে তার নানিই আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে। যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যাক, ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি। তারপর শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম, তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতে কোনো খাবারই আমি খাইনি। আসলে সেদিন ঈদের সুযোগ নিয়ে সে আমার বাসায় এসেছিল। মিথ্যা বলে আবার আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং পরে সে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে তাই করার চেষ্টা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে সে এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা রটনাসহ সবই করছে। সে চায় আমি যেন তার দেওয়া মানসিক চাপে পাগল হয়ে যাই। আর সুস্থভাবে বাঁচতে না পারি এবং আমার সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’

বুবলীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সে নাকি মুখ খুলবে, আমি তাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সে যেন মুখ খুলে। আমি তো সন্তানের স্বার্থে মুখ বন্ধ করে তার দেওয়া সব মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করে আসছি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আর মুখ বুঝে থাকব না। সে ও তার পরিবার আমার ওপর যা ঘটিয়েছে সব খুলে বলতে সে যেন আমাকে বাধ্য না করে। আমি আবারো তাকে বলছি সন্তানের ভালোর দিকে তাকিয়ে সে যেন এসব নোংরামী বন্ধ করে। আমার জীবদ্দশায় আমি তার ছায়াও আর দেখতে চাই না। আমার ধারেকাছে আসা এবং আমার বাসায় প্রবেশের কোনো অধিকার তার নেই। তার আর কোনো নাটক আমি দেখতে চাই না।’

এন