মঙ্গানুই টেস্ট: টাইগারদের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি
Share on:
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে কখনোই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সাফল্য বলতে ঘরের মাঠে পাওয়া ড্র। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে সেই ড্র করাটাও যেন দূরের মরীচিকা। সেই বাংলাদেশই এখন জাগিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে কখনোই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সাফল্য বলতে ঘরের মাঠে পাওয়া ড্র। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে সেই ড্র করাটাও যেন দূরের মরীচিকা। সেই বাংলাদেশই এখন জাগিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে সিরিজের প্রথম টেস্টের চার দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। তাদের লিড এখন ১৭ রানের, হাতে আছে আর ৫টি উইকেট।
বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ৪৫৮ রানে অল আউট হয়ে ১৩০ রানের লিড নেয় । বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ২ উইকেট তুলে নিলেও হাল ধরেন রস টেলর ও উইল ইয়াং। তারা নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেন।
চতুর্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৭। তাদের লিড ১৭ রান। ক্রিজে রয়েছেন রস টেলর ৩৭ ও রাবিন্দ্র ৬ রানে।
নিউজিল্যান্ড লিড নেয়ার শুরুতে এক ওভারের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নেন ইবাদত। উইল ইয়াংকে ৬৯ রানে সাজঘরে পাঠানোর পর নিকোলাস ও ব্রুন্ডেলকে শূন্য রানে ফেরান।
এর আগে ২৯ রানে অধিনায়ক টম ল্যাথামকে শিকারে পরিণত করেন তাসকিন আহমেদ। ২৫ তম ওভারে ইবাদতের শিকার হলেন প্রথম ইনিংসে শতরান করা ডেভন কনওয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে কনওয়ে ৪০ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এদিকে, দিনের শুরুতে দুবার এলবিডব্লিউতে মেহেদী মিরাজকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেয়ার কারণে মাঠ ছাড়তে হয়নি মিরাজকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টিম সাউদির বাইরের একটি বলে খোঁচা মেরে কিপার টম ব্লানডেলের হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেহেদি। এর পরে একে একে ইয়াসির আলী, তাসকিন ও শরিফুলের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৫৮ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
মাত্র ১৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারানোর কারণে বড় লিডের সুযোগ হারায় টাইগাররা।
এর আগে ৬ উইকেটে ৪০১ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ যোগ হয়েছে মাত্র ৫৭ রান। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনি করেন ৮৮ রান। তার ইনিংসটি ছিল ১২ চারে সাজানো। লিটন দাস করেন ৮৬ রান। তার ইনিংসটি ছিল ১০ চারে সাজানো। এছাড়াও মাহমুদুল হাসান জয় ৭টি চারের সমাহারে করে ৭৮ রান। এছাড়াও নাজমুল হোসেন শান্ত ৭টি চার ও একটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কার সমাহারে ৭৮ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন।
এইচএন