tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০২ পিএম

কেউ এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে শাস্তি মাথা পেতে নেবো


Hasnat-Abdullah-66e95d073831a

টাকা ব্যাংকে রাখার বিষয়ে ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, কেউ যদি এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবো।


ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে সম্প্রতি দেশের ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জমা পড়ে কয়েক কোটি নগদ অর্থ আর অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী। সেই টাকার একটি অংশ ব্যয় করার পর বাকী টাকা গচ্ছিত রয়েছে ব্যাংকে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন কেন সেই টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে?

ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা বন্যার্তদের পুর্নবাসনের জন্য ব্যয় করা হবে বলে ফেসবুকে দেওয়া ওই ভিডিও পোস্টে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ত্রাণ তহবিলের বেশিরভাগ টাকা পরিকল্পিতভাবেই ব্যাংকে রাখা হয়েছে। তহবিল সংগ্রহের শুরুতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সব খরচ না করে বেশিরভাগই জমা রাখা হবে। কারণ আগের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জেনেছি যে, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর অর্থ সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এখন ওই অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। আরও আগে থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণসহ অন্য কাজগুলো করে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু আয়-ব্যয়ের অডিট কমপ্লিট না হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছিল না।

তিনি বলেন, নিরীক্ষা শেষ করে শিগগির তহবিলের সব অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করার পরিকল্পনা আছে। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার যে তহবিল গঠন করেছে, সেখানেই টাকাগুলো দেওয়া হবে। এর ফলে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবেই আমাদের তহবিলের অর্থ মানুষের কাজে আসবে বলে আশা রাখি।

বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশে গঠিত ত্রাণ তহবিলের যে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ত্রাণ সহায়তার জন্য যত অর্থ আমরা পেয়েছি, সেগুলোর প্রতিটি পয়সার হিসাব আমাদের কাছে আছে। কাজেই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রাথমিক ত্রাণ কার্যক্রমে খরচের পর তহবিলের বাকি অর্থের বেশিরভাগই জমা রাখা হয়েছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। চাইলেও সেগুলো কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না।

এসএম