গাজার চেহারা বদলে দিতে মরিয়া নেতানিয়াহু
Share on:
গাজায় ইসরায়েলি হামলা এখনো থামেনি। এরই মধ্যে গাজাকে ঘিরে নিজের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এ সংক্রান্ত নথি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (০৪ মে) জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহু তার এই পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন ভিশন ২০৩৫। বলা হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও আঞ্চলিক অর্থনীতির সঙ্গে গাজাকে সম্পৃক্ত করাই নতুন পরিকল্পনার লক্ষ্য। এ জন্য গাজায় ব্যাপক নির্মাণযজ্ঞ ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ করতে চান নেতানিয়াহু। এর বিনিময়ে গাজায় পুতুল সরকার বসাতে চায় তেলআবিব।
তিন ধাপে গাজায় স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা পেশ করেছেন নেতানিয়াহু। প্রথম ধাপে ১২ মাস ধরে মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করা। এ জন্য গাজাকে প্রথমে হামাসের হাত থেকে মুক্ত করতে চান নেতানিয়াহু। পরে গাজায় একটি নিরাপদ মানবিক সহায়তা করবে ইসরায়েল। গাজার ফিলিস্তিনিরা সেই সেইফ জোনগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
দ্বিতীয় ধাপে পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে ইসরায়েল। আর সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, বাহরাইন, জর্ডান ও মরক্কোর সমন্বয়ে গঠিত আরব জোট গাজা পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষ নামে একটি সংগঠন তৈরি করবে। এই সংগঠনের দায়িত্ব হবে গাজার পুনর্নির্মাণ ও অর্থনৈতিক বিষয় পরিচালনা করা।
তৃতীয় ধাপে গাজার তথাকথিত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করবে ইসরায়েল। তবে যেকোনো ‘নিরাপত্তা ঝুঁকির’ ক্ষেত্রে ইসরায়েল পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবে। পরে ধীরে ধীরে গাজার স্থানীয় সরকার বা পশ্চিম তীরের সঙ্গে মিলে একটি ফিলিস্তিনি সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তবে গাজাকে চরমপন্থি মুক্ত ও বেসামরিকীকরণ করার সব পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে জেরুজালেম পোস্টে এক মতামত কলামে দাবি করা হয়েছে, হামাসকে দুর্বল করে দিয়ে তাদেরকেই ক্ষমতায় রাখতে চান নেতানিয়াহু। এতে অন্য কোনো সংগঠন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সহায়তা পাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। নেতানিয়াহু নিজের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ফায়দার জন্যই নাকি এমনটা করছেন বলে ওই কলামে দাবি করা হয়।
এনএইচ