ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সবই করবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনও সন্দেহ নেই : জাতিসংঘ
Share on:
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে চলতি মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
সহিংসতা, দমন-পীড়ন, অধিকার লঙ্ঘন ও ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যা যা করতে পারে তার সবই তারা করবে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।
এছাড়া সরকারের এই কাজের বিষয়ে জাতিসংঘের কোনই সন্দেহ নেই বলেও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে দেওয়া বিবৃতিতে এবং সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক এবং মানবিক উভয় দিক দিয়ে দেশের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এদিনের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রথমে বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। এরপর সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে উজানের পানির প্রবাহের কারণে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশটিতে আমাদের দল (দুর্গতদের মাঝে) পানি পরিশোধন ট্যাবলেট, স্বাস্থ্য সরঞ্জামের নানা কিট এবং খাবার সরবরাহ করছে।
তিনি আরও বলেন, যেমনটি আমরা আগেই উল্লেখ করেছি— মানবিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে গত মাসে ঘূর্ণিঝড় এবং মৌসুমী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২ লাখ মানুষকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেছে। আজ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ মানুষের কাছে তারা পৌঁছেছে এবং এ সংক্রান্ত ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের মাত্র ২০ শতাংশ গৃহীত হয়েছে।
পরে এক সাংবাদিকের বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, রাজনৈতিকভাবে এবং মানবিক দিক থেকে দেশের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের কোনও সন্দেহ নেই যে— আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে যা যা তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) করতে পারে তার সবই তারা করবে।
বাংলাদেশে চলমান বন্যা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি— জাতিসংঘের মানবিক দল সেখানে আছে। তারা ইতোমধ্যেই তাদের লক্ষ্যমাত্রার ১২ লাখ মানুষের মধ্যে ৭ লাখ মানুষকে সাহায্য করেছে।
এনএইচ