tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৪ অগাস্ট ২০২৩, ০৯:১৪ এএম

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: ওয়াগনারের প্রধানসহ নিহত ১০


0
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: ওয়াগনারের প্রধানসহ নিহত ১০

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে একটি প্রাইভেট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনসহ এতে থাকা ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন।


বুধবার (২৩ আগস্ট) মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার সময় টাভার অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

রুশ সংবাদ মাধ্যম আরআইএ নভোস্তির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিগোজিনসহ ঐ বিমানে ১০ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জন ক্রু ছিলেন। এ ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছেন।

রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (রোসাভিয়াতসিয়া) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার বিমানটির যাত্রীদের তালিকায় প্রিগোজিনের নাম রয়েছে।

রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এ দুর্ঘটনার বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানাননি তারা।

রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ১০ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার জরুরি সেবা বিভাগ উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে। তবে লাশগুলোর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

এর আগে ওয়াগনার গ্রুপ সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন খবরে বলা যায়, মস্কোর উত্তরের একটি এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোলা বর্ষণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত তিনি আড়ালে থেকে বাহিনী পরিচালনা করে আসছিলেন।

কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে তিনি ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে আসে। প্রিগোজিনের যোদ্ধারা রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে জুন মাসের শেষের দিকে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ওয়াগনার বাহিনী।

পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় এ বিদ্রোহের অবসান হয়। সমঝোতা অনুসারে, তার বেলারুশে নির্বাসনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রিগোজিন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, তাতে তিনি আফ্রিকায় থাকার দাবি করেন।

প্রিগোজিন বড় হন সেন্ট পিটার্সবার্গে। ৮০’র দশকে তিনি চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর ৯ বছর কারাগারে ছিলেন প্রিগোজিন।

৯০’র দশকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার পরিচয়। ক্রেমলিনের বিভিন্ন খাবারের চুক্তি পাওয়ার মাধ্যমে তিনি বিত্তশালী হয়ে ওঠেন। এক সময় প্রিগোজিন ‘পুতিনের শেফ’ হিসেবে পরিচিতি পান।

এন