ভূমিকম্পের সময় করণীয়
Share on:
পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশ বিশেষের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন হচ্ছে ভূমিকম্প। এ ভূ-কম্পণ সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হলেও এর মধ্যেই ঘটে যেতে পারে বিরাট অঘটন। যেমনটি ঘটেছে তুরস্ক-সিরিয়ায়।
এই দুই দেশে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আরও ভবন ধসে পড়ার শঙ্কা আছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭.৫।
এর আগে ১৯৯৯ সালে ইস্তাম্বুলের কাছে জনবহুল পূর্ব মারমারা সাগর অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প। ঘটনাটি ১৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছিল।
ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তার নাম রিখটার স্কেল। রিখটার স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে মাত্রা ৫ এর বেশি হওয়া মানেই ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা।
ভূমিকম্প হলে তাৎক্ষণিক যা করতে হবে :
১) ভূমিকম্প টের পেলে বা খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিন।
২) উঁচু ভবনে থাকলেও বের হতে না পারলে শক্ত কোনো খাম্বার নিচে অবস্থান নিন।
৩) মানসিকভাব অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন।
৪) বহুতল ভবনে একই জায়গায় অনেক মানুষ একসঙ্গে না থেকে ভাগ হয়ে আশ্রয় নিন।
৫) মুঠোফোনে ফায়ার সার্ভিস ও দরকারি মোবাইল নম্বরগুলো আগের থেকেই রেখে দিন।
৬) দ্রুত নামার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়বেন না।
৭) ভূমিকম্পের সময় সম্ভব হলে মাথার ওপর শক্তকরে বালিশ অথবা অন্য কোনো শক্ত বস্তু কাঠবোর্ড, নরম কাপড় চোপড়ের কুণ্ডলি ধরে রাখুন।
৮) গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে দূরে অবস্থান নিন।
৯) ভূমিকম্পের সময় উঁচু ভবন থেকে দ্রুত নামতে লিফট ব্যবহার করবেন না।
১০) এ সময় গাড়িতে থাকলে ফাঁকা স্থান বেছে নিন ও গাড়িতেই থাকুন।
একবার ভূমিকম্পের পর আরেকটি ছোট ভূমিকম্প হয় যাকে বলে আফটার শক। এজন্য ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক ঘণ্টা সতর্ক থাকুন ও নিরাপদ স্থান বেছে নিন।
এন