tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম

আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী


4
আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আজ বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক) উদ্বোধন হবে। এটি দিয়ে যানবাহন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পৌঁছাবে মাত্র ১০ মিনিটে।


শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। প্রথম দফায় এটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হবে। এ অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১.৫ কিলোমিটার।

এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীরা চলাচল করতে পারবে না। মোটরসাইকেলও এখনই চলতে দেওয়া হবে না। এছাড়া উড়ালসড়কে গাড়ি নিয়ে দাঁড়ানো ও ছবি তোলা নিষিদ্ধ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে ১৫ টি র‌্যাম্প। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীর র‌্যাম্প ২ টি আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের জন্য টোল দিতে হবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের টোল ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা।

ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল ৮০ টাকা।

ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে মাঝারি ট্রাকের ক্ষেত্রে (৬ চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল ৩২০ টাকা।

ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) টোল ৪০০ টাকা।

৪-ক্যাটাগরির অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সিটের বা তার বেশি) টোল ১৬০ টাকা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) এলাকা পর্যন্ত যাবে।

এটিতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।

শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে রয়েছে- ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড) ৫১ শতাংশ, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো অপারেশন গ্রুপ (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ।

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটির চুক্তি সই করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত চুক্তি সই করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি।

এছাড়া প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৮৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।

২০১৯ সালের ৩০ মার্চ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চায়না এক্সিম ব্যাংকের সাথে ৪৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আসিবিসি) সাথে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ মোট ৮৬১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়। এর মধ্যে মোট ৩৮২.৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়েটির মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে উঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১ টি র‌্যাম্প রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এর মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

এন