tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ০৮ মে ২০২৩, ২০:৪৫ পিএম

দেশে ৭ বছরে সর্বনিম্ন রিজার্ভ, নামল ২৯ বিলিয়ন ডলারে


ডলার

ডলার সংকটের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে রিজার্ভ আরও কমে ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই অঙ্ক গত ৭ বছরে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।


আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে; যা এখনো অব্যাহত আছে। এ সংকট দিন দিন বাড়ছে। বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি ধারাবাহিকভাবে কমছে। তবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ৮ মে আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা আকুর (মার্চ-এপ্রিল) আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। ফলে এদিন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি ডলারে (২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন)।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যদি রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হয়, তাহলে ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ এই হিসাব থেকে কমে যাবে। সেই হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে রিজার্ভ। ওই অর্থবছরের শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ৭ বছর পর আবারও ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসছে রিজার্ভ। ২০১৭ সালের ২২ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।

এমআই