স্মরণীয় জয়ের পর সুখবর পেল বাংলাদেশ
Share on:
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছরে ঘরের মাঠ ও দেশের বাইরে বেশ ভালো সময় পার করছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য পার করে টাইগাররা অনবদ্য জয় পেয়েছে। আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হওয়ায়, চলমান এই সিরিজে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার নজর ছিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় হালে পানি পায় প্রোটিয়ারা। তারা সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সুখবর পেল বাংলাদেশও।
তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি খেলছে ২০২২-২৩ ওয়ানডে সুপার লিগের সর্বশেষ সিরিজ। ইতোমধ্যে বাকি সব দলের খেলা শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের মধ্য দিয়ে ইতি ঘটবে ওয়ানডে সুপার লিগের চলতি মৌসুমের। তার আগেই নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরি, তাওহীদ হৃদয়ের হাফসেঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের দারুণ ফিনিশিংয়ে টাইগাররা স্মরণীয় জয় পেয়েছে। আর তাতেই সুপার লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
আইসিসি প্রকাশিত পয়েন্ট টেবিল থেকে জানা যায়, ২৩ ম্যাচে ১৪৫ পয়েন্ট নিয়ে টাইগারদের অবস্থান তিনে। শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১৭৫ এবং ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ইংল্যান্ড। তবে বাংলাদেশের চেয়ে উভয় দলই এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। তামিমদের পরে থাকা যথাক্রমে ভারতের পয়েন্ট ১৩৯ এবং পাকিস্তানের অর্জন ১৩০ পয়েন্ট। দু’দলই সমান ২১টি করে ম্যাচ খেলেছে।
এর আগে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ দিয়ে চূড়ান্ত হয়ে যায় আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের লাইনআপ। শেষ দল হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে কপাল পুড়েছে আয়ারল্যান্ডের। তবে তাদের সমীকরণটা বেশি কঠিনই ছিল। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে হলে, বাংলাদেশকে তিনটি ওয়ানডেতেই হারাতে হতো আইরিশদের।
তাদের সেই স্বপ্নে প্রথমেই শেষ করে দেয় বৃষ্টি। এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে ফরম্যাটটিতে টাইগারদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩১৯ রান সংগ্রহ করে। হ্যারি টেক্টর ক্যারিয়ারসেরা ১৪০ এবং জর্জ ডকরেল করেন অপরাজিত ৭৪ রান। তবে টাইগার ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও হৃদয়ের দৃঢ়তায় আইরিশদের বড় পুঁজিও যথেষ্ট ছিল না। ওয়ানডেতে শান্ত’র অভিষেক সেঞ্চুরির পর হৃদয়ও ফিফটি তুলে নেন। শেষদিকে দারুণ ফিনিশিংয়ে টাইগারদের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহিম।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে ভারতসহ মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া বাকি সাত দল হচ্ছে- নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি দুই দল জায়গা নেবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে। আগামী জুন-জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ের মাটিতে হবে বাছাইপর্ব। সেখানে সুপার লিগ থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বাকি পাঁচ দলের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস) সঙ্গে লড়বে প্রাক-বাছাই পেরিয়ে আসা আরও পাঁচটি দল। তারা হলো নেপাল, ওমান, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
এবি