এক ডিম ৩৪ রুপি, মুরগির কেজি ৬১৫: কোন পথে পাকিস্তান
Share on:
পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও, ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বিভিন্ন পণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও সেই দামে সেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
পাকিস্তান টুডের খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শহরে হু হু করে বাড়ছে পণ্যের দাম। ডিম ডজন প্রতি ৪০০ পাকিস্তানি রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৫০ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, সরকার পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছে ১৭৫ রুপি প্রতি কেজি। মুরগির মাংসের দাম আরও বেশি। লাহোরে এক কেজি মুরগির মাংস কিনতে লাগছে ৬১৫ রুপি।
গত মাসেই ইকোনমিক কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে পাকিস্তানের ন্যাশনাস প্রাইজ মনিটরিং কমিটিকে মূল্যবৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে সমস্ত পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া এবং কোথাও যেন পণ্য মজুত করে রেখে কৃত্রিম সংকট না তৈরি হয়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে পণ্যের লাগাম টেনে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের ব্যর্থতার কারণে সেখানে মাত্র ১২টি ডিমের দাম ৪০০ রূপিতে স্পর্শ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ যার ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি তার প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
পাকিস্তানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর, নাজি বেনহাসাইন উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মডেল অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং দারিদ্র্য আবার বাড়তে শুরু করেছে।
গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। একসঙ্গে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ তলানিতে ঠেকেছে এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের উপর মোট ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৬৩ হাজার ৩৯৯ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
এনএইচ