শান্তিরক্ষা মিশনে তিন দশক ধরে অবদান রাখছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
Share on:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য প্রেরণকারী দেশ। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে আসছে। বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাংলাদেশি নারী-পুরুষ নিযুক্ত রয়েছে।’
রোববার (২৫ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন পোলার্ড সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বৈঠকে জাতিসংঘের সদস্য অস্থিতিশীল দেশগুলোতে শান্তিরক্ষায় অবদানের জন্য তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
ক্যাথরিন পোলার্ড যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন রোধে ট্রাস্ট ফান্ডে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নারী নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রমুখ।
এমআই