‘নতুন মেসি’ এখন ব্রাইটনের
Share on:
বার্সেলোনার জার্সিতে আনসু ফাতির অভিষেকটা ছিল স্বপ্নের মত। ঝকঝকে অভিষেকের পর অনেকেই তাকে ভাবছিলেন নতুন দিনের মেসি। মেসির সঙ্গে জুটিও বেঁধেছিলেন। বামপ্রান্তে দারুণ এই ফুটবলারকে পেয়ে বার্সেলোনাও ফেলেছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস। বিশ্বাস এতই প্রবল ছিল, মেসি যাবার পর আনসু ফাতিকেই দেওয়া হয়েছিল বার্সার নাম্বার টেনের জার্সি।
কিন্তু প্রথম মৌসুমটা দারুণ কাটলেও দ্রুতই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন ফাতি। নানান চোটে এরপর আর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। চোটের সমস্যা তো ছিলোই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শৃঙ্খলাজনিত ইস্যু। সেই ফাতিকে অবশেষে কিছুটা বাধ্য হয়েই ব্রাইটনে পাঠাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। ট্রান্সফার মার্কেটের অন্যতম বিশ্বস্ত সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুরু থেকেই বার্সেলোনা ছাড়তে রাজী না হলেও দুদিন আগে মত বদলান ফাতি। তখন থেকেই চেলসি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও টটেনহ্যাম বেশ কিছু ক্লাবই আলোচনা চালিয়েছে। এরমধ্যে টটেনহ্যাম ছিল এগিয়ে। তবে শেষ সময়ে একরকম তাকে ছিনিয়ে নেয় ব্রাইটন। মূলত কোচ রবার্তো ডি জাব্রির কারণেই তাকে মানাতে পেরেছে ইংলিশ ক্লাবটি।
চুক্তি অনুযায়ী আপাতত এক বছরের জন্য ধারে ব্রাইটনে খেলবেন ফাতি। তবে তাকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেওয়ার কোনো সুযোগ রাখেনি বার্সা। নিজেদের গড়ে তোলা এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে বার্সা যে হারাতে চায় না তারই নমুনা এটি। মৌসুম শেষে ফাতি আবার ফিরে আসবেন বার্সেলোনায়। আর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তার বেতনের সিংহভাগ দিবে ব্রাইটনই।
এর আগে বার্সা থেকে তাকে ক্লাব ছাড়তে যথেষ্ট চাপ দিলেও অনঢ় ছিলেন ফাতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বোঝাতে পেরেছে ক্লাবটি। মূলত তার এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেস এবং তার বাবার ইচ্ছে ছিল এক মৌসুম নিয়মিত ফুটবল খেলার জন্য অন্য কোথাও কাটাতে।
২০১৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অসাধারণ নৈপুণ্যে ফুটবল বিশ্বের নজরে আসেন ফাতি। তবে হাঁটু এবং হ্যামস্ট্রিংয়ের বিভিন্ন সমস্যার কারণে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় দুই বছরে লম্বা সময় ফুটবল মিস করেছিলেন। সবমিলিয়ে বার্সায় খেলেছেন ৫১টি ম্যাচ। যার বেশির ভাগ ম্যাচেই ছিলেন না শুরুর একাদশে।
চলতি মৌসুমে ফিট থাকলেও বার্সার একাদশে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত ছিল না তার। তার চেয়ে আরেক তরুণ লামিনে ইয়ামালে আস্থা রাখছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। এছাড়া ফেরান তোরেসও ছন্দের দেখা পেয়েছেন। সবমিলিয়ে সে অর্থে খেলার সময় পাচ্ছিলেন না তিনি। বাধ্য হয়েই নতুন মেসি ফাতির ঠিকানা হলো ব্রাইটনে।
এবি