tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ০৫ জুন ২০২৪, ১৭:১৬ পিএম

শান্তকে সময় দিলে অধিনায়কত্বে ভালো করবে : মাহমুদউল্লাহ


shanto-mahmudullah-7-20240605155956

যদিও ব্যক্তিগত ও দলীয় সাফল্য না আসায় শান্তকে নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার অন্ত নেই। তবে তাকে সময় দিলে ভালো করবেন বলে প্রত্যাশা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।


সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। তার আগেই তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব ছাড়েন সাকিব আল হাসান। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়া শান্ত’র অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে টাইগাররা এখন আমেরিকার মাটিতে।

বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রচার করছে বিসিবি। আজকের (বুধবার) পর্ব ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। এ সময় অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, সে খুব ভালো নেতা। খুব ভালো অধিনায়ক। গেম-সেন্স খুব ভালো।

ম্যাচের প্রতি মনোযোগও খুব ভালো। কিন্তু আমাদের তাকে সময় দিতে হবে। কিছুদিন হলো অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছে, সময় দিতে হবে তাকে। আশা করি ওর যে নেতৃত্বগুণ আছে, ইনশা-আল্লাহ বাংলাদেশের জন্য ভালো করবে।

নিজের ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘উত্থান-পতন তো আমার ক্যারিয়ারে কমবেশি ছিলই। আমি সব সময়ই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছেই সব সময় যা কিছু বলার আমি বলি। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি, আল্লাহ হচ্ছেন সেরা পরিকল্পনাকারী। আমার ভালো সময়, খারাপ সময় সবকিছুরই একটি শিক্ষণীয় বিষয় থাকে—এটাই আমি বিশ্বাস করি।

যেকোনো টুর্নামেন্ট, সিরিজ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করাটাকে বিশেষ হিসেবে দেখেন মাহমুদউল্লাহ, ‘জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা, সেটা সিরিজ হোক কিংবা কোনো মেগা ইভেন্ট হোক, সব সময়ই স্পেশাল। যখনই নতুন জার্সিটা পাই, সব সময়ই খুব ভালো লাগে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকদের নিয়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাদের মানুষ অনেক আবেগপ্রবণ। অনেক অনুভূতি নিয়ে উনারা খেলা দেখেন। উনারা চায় আমরা ভালো করি। তো সবদিক থেকে বিবেচনা করে যে, এতদূর আল্লাহ আমাকে নিয়ে এসেছেন, এটাই অনেক, আলহামদুলিল্লাহ।’

এর আগে ২০২১ বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দিলেও, ২০২২ আসরের দল থেকে বাদ পড়ে যান রিয়াদ। এ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন আমি ছিলাম না, খারাপ লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, দলে হয়তো থাকতে পারতাম।

কিন্তু হয়নি এবং ওটার জন্য আমার কোনো কষ্টও নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ, যেটা বলি দলের জন্য যতটুকুই আমি করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, আমি আমার সর্বোচ্চটাই সব সময় নিংড়ে দিই।

আইসিসি টুর্নামেন্টে ট্রফি জেতা তো দূরে থাক, সুপার এইটই তাদের সর্বোচ্চ দৌড়। ট্রফি জয়ের জন্য কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ট্রফি জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।

এসএম