যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: গ্রেপ্তার চারজন ৪ দিনের রিমান্ডে
Share on:
লক্ষ্মীপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমা এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, মো. সবুজ, মনির হোসেন রুবেল ও আজিজুল ইসলাম বাবলু।
এরমধ্যে ইসমাইল বশিকপুর গ্রামের সেলিম পাটওয়ারীর ছেলে, সবুজ নন্দীগ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে, বাবলু একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ও রুবেল দত্তপাড়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদীসহ ৩৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ ও র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ওই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট সড়কে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় দুইজন মারা যান। ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম জিহাদীসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অস্ত্র হাতে ৮ জন যুবককে হাঁটতে দেখা যায়।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এমআই