সকল ভেদাভেদ ভুলে দ্বীন কায়েমে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামা, কওমি-আলিয়া সবাই মিলে সর্বসাধারণের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত, ঐক্যের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
আলেম-ওলামার মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকা যাবে না। কওমি আলিয়ার মাঝে যে প্রাচীর রয়েছে তা উঠিয়ে দিতে হবে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় উত্তর আমাদের এই প্রিয় দেশকে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করে দ্বীন কায়েমে সচেষ্ট হতে হবে।'
বুধবার (২৫সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, "ঐক্যের স্বার্থে, দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদের কোনো ধরনের বিতর্কে জড়িত হওয়া যাবে না। কুরআনের ভাষায় ‘উত্তম যুক্তি-তর্ক সহকারে মন্দকে ভালো কিছু দিয়ে প্রতিহত করো।’ আমাদেরকে একে অপরকে মর্যাদা দিতে হবে, সম্মান করতে হবে।
কোনো অবস্থাতেই কারো অসম্মান হয়, কারো মনে আঘাত লাগে এ জতীয় কাজ থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কোনো মতেই পরস্পরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবে না। মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে দ্বীন কায়েমে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সর্বসাধারণের মাঝে দ্বীনি দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে এবং ইসলামের সৌন্দর্যকে ঘরে ঘরে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।"
নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত ইমাম ও খতীব সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ওলামা কমিটির সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানি, মাওলানা মাইনুদ্দীন আহমদ, মাওলানা মমিনুল হক সরকার, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা আ. মজিদ, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস শোকর, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা নাজমুল ইসলাম পাটোয়ারী, মাওলানা কামাল উদ্দিন নুরী, মুফতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা জাকির হোসাইন, মাওলানা আবু সাঈদ মুন্না, মাওলানা সাইফুল্লাহ কামাল প্রমুখ।
ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, 'যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এবং ইকামাতের দ্বীনের জন্য সর্বোচ্চ কোরবানি পেশ করেছেন। সহিহ হাদিস মতে নবী-রাসূলদের অবর্তমানে যুগে যুগে ভালো লোকেরা এবং ওলামায়ে কেরাম তাদের উত্তরাধিকার হিসেবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে ত্যাগ ও কুরবানি অব্যাহত রেখেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ভারত-উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, দেশ গঠন, দেশের উন্নয়ন এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, শিরক-বিদআত মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ওলামায়ে কেরাম সব সময় অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন।'
তিনি আরো বলেন, 'সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কতিপয় বিপথগামী ইসলামের দুশমনদের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখদেরকে ঐ সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের ব্যাপারে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে।'
সম্মেলনে ৫ শতাধিক আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখসহ বহু মসজিদের ইমাম ও খতিব উপস্থিত ছিলেন।
এসএম