আগাম জাতের আলু চাষ : ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা
Share on:
আমিরুল হক, নীলফামারী: আগাম আলু চাষের জন্য খ্যাত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা। ধান কেটে মাঠের পর মাঠ আলু রোপণ করছেন এখানকার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুল আর রোগ-বালাই কম হওয়ায় ক্ষেতের ফলনও বেশ ভালো হয়। দরপতন না ঘটলে এবার গত কয়েক বছরের ক্ষতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন এমনই আশাবাদ কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, চলতি বছর ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১শ হেক্টর বেশি। এবছর আগাম আমন ধানে রেকর্ড পরিমান ফলন পেযে কৃষক আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উচু জমিতে আলুচাষে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে লাগানোর কথা বলা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার উচু দাঙ্গা বেলে দোআশঁ মাঠগুলোতে ৫০-৫৫ দিনে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আগাম আলুর বীজ রোপণে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ তোড়জোড় যেন যার আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত বেশি লাভবান হবেন। প্রতি বছর আগাম আলু চাষে প্রান্তিক-মাঝারি কৃষক লাভবানও হন।
এ বছরও অনুকূল পরিবেশে স্বল্প মেয়াদি আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আগাম আলু বুননের জন্য হালচাষ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ আলু সংগ্রহ ও রোপণের মহা আয়োজন চলছে। এ আয়োজনে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সময়ের আগে আলু রোপণ আর এত প্রানচাঞ্চল্য নজর কাড়ছে সবার।
রণচন্ডি ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের আলু চাষী বিধান চন্দ্র বলেন, এ অঞ্চলের ডাঙ্গা জমিগুলো একদম উচু এবং বালু মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোন ভয় থাকেনা। এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আগাম আলু বুনছেন। আলু উত্তোলন করতে পারলে ৭০-৮০ টাকা বাজার ধরতে পারবেন। তিনি বলেন গত বছর ৩ বিঘা জমিতে ৩৯ বস্তা ফলন পান। যা উত্তোলন করে ৯০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে খরচ বাদে ২ লাখ টাকা আয় করেন।
নীলফামারী জেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা মন্ডল বলেন, এ উপজেলার মাটি আগাম আলু চাষের জন্য খুবই উপোযোগী। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠের পর মাঠ আগাম আলু চাষে কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষক। প্রতিবছর এলাকার কৃষক আগাম আলু চাষ করে লাভবান হন। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবছরের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভাল হবে বলে আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া আমাদের কৃষি অফিস থেকে আগাম আলু চাষে কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকি। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
এন