২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে যে ১২ দল
Share on:
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব শেষে এক সুপার এইটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো। এর মধ্যেই আলোচনায় এসেছে টুর্নামেন্টের আগামী আসর। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে সেই আসরে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ১২টি দল।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে ২১ রানের জয় তুলে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদশে। সেই সঙ্গে তাদের নিশ্চিত হয়েছে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার নিশ্চয়তা। সুপার এইটে আট দল ছাড়াও চলতি আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া চারটি দলও টিকিট পাচ্ছে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার।
কারণ, আইসিসি আগেই জানিয়েছে এবারের আসরের সুপার এইটে জায়গা করে নেয়া ৮ দল আগামী আসরে সরাসরি অংশ নেবে। সেই সঙ্গে স্বাগতিক হিসেবে অটো টিকিট পাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও আগামী আসরে তাদের অংশগ্রহণ করা নিশ্চিত।
সুপার এইটের আট আর স্বাগতিক দুই মিলে ১০ দলের পাশাপাশি জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকে থাকা আরও দুই দল সরাসরি অংশ নেবে সে আসরে। ভারত যেহেতু দশম আসরে স্বাগতিক কোটায় টিকিট নিশ্চিত করেছে, তাই সুপার এইট নিশ্চিত করায় র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আরও একটি বাড়তি দল সুযোগ পাবে আগামী আসরে। অর্থাৎ মোট তিনটি দল র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে খেলার সুযোগ পাবে।
আইসিসির বর্তমানে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের রযেছে ৬ নম্বরে এবং পাকিস্তান ৭ নম্বরে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দলগুলো নিজেদের অবস্থান ধরে রাখলে ২০২৬ আসরে এই তিনটি দলের খেলা নিশ্চিত হবে।
ইংল্যান্ড যেহেতু শেষ পর্যন্ত সমীকরণ মিলিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে তাই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে আয়ারল্যান্ড, যারা এখন র্যাঙ্কিংয়ের ১১ নম্বরে অবস্থান করছে।
মূলত, স্বাগতিক হিসেবে দুই, সুপার এইটে সাত ও র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ৩ দল মিলিয়ে সরাসরি ২০২৬ আসরের টিকিট পাচ্ছে মোট ১২টি দল। বাকি আট দল আসবে আঞ্চলিক বাছাই থেকে। এর মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপ থেকে দুটি করে ৬টি, আমেরিকা ও পূর্ব-এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে একটি করে দুটি।