বগুড়ায় শেখ হাসিনাসহ ৫৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Share on:
বগুড়া সদর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা জাপা সভাপতিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৩২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
বগুড়া শহরতলির আকাশতারা উত্তরপাড়া গ্রামের জেল্লাল ফকিরের ছেলে আবদুল মজিদ শুক্রবার মধ্যরাতে এ মামলা করেন। সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন-বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা জাপা সভাপতি সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাছুদুর রহমান মিলন, জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলু, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ্ আকতারুজ্জামান ডিউক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক, সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহিন, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাসিমুল বারী নাসিম, সাবেক শহর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আকন্দ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান ববি, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি হিরো, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মতিন সরকার, ফাঁপোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মেহেদী, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিল, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হুদা উজ্জ্বল, সদর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল বাশার মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা তারাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাদী আবদুল মজিদ এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আসামিরা গত ১৭ জুলাই দুপুরে শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও পেট্রল বোমা নিয়ে হামলা চালান। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন ও চোখ জখম হয়। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, বাদীর মামলা দন্ডবিধির ১৪৩, ৩২৬, ৩০৭ ও ১০৯ ধারা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রেকর্ড করা হয়েছে।
এনএইচ