স্কটিশদের ১৯০ রানের টার্গেট দিলো পাকিস্তান
Share on:
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ২০০৯ সালের আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। আর শেষদিকে টর্নেডো ইনিংসে ফিফটি হাঁকিয়েছেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবার আগে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে এখনও নিশ্চিত নয়, আদৌ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে কি না তারা।
আজ রোববার ( ৭ নভেম্বর) সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচটি জিতলে টেবিল টপার হয়েই সেমিতে খেলতে নামবে পাকিস্তান।
সেই মিশনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ২০০৯ সালের আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। আর শেষদিকে টর্নেডো ইনিংসে ফিফটি হাঁকিয়েছেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তাদের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না।
পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৩৫ রান।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ১৫ রান।
বেশি কিছু করতে পারেননি তিন নম্বরে নামা ফাখর জামানও। দশম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১৩ বলে ৮ রান।
ইনিংসের মাঝপথ শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৬০ রান। সেখান থেকে শেষ দশ ওভারে বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের ব্যাটের চড়ে ১২৯ রান যোগ করে তারা। বাবরের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিলেন মালিকই।
প্রথমে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৫ ওভারে ৫৩ রান যোগ করেন হাফিজ ও বাবর। আউট হওয়ার আগে হাফিজ খেলেন ১৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস।
দুই ওভার পর সাজঘরের পথ ধরেন বাবরও। ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটিতে ৪৭ বলে ৬৬ রান করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
শেষদিকে পাকিস্তানকে দুইশ ছুঁইছুঁই স্কোর এনে দেয়ার পূর্ণ কৃতিত্ব মালিকের। শেষ ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারের মারেই নেন ২৬ রান।
ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১৮ বলে পঞ্চাশ পূরণ করেন তিনি। যা চলতি আসরের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
মালিক অপরাজিত থাকেন এক চার ও ছয় ছয়ের মারে ১৮ বলে ৫৪ রান করে। আসিফ আলির ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ৫ রান। এ দুজনের ১৫ বলে জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ ৪৭ রান। যার সিংহভাগই করেন মালিক।
এইচএন