শিশুশ্রম জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ
Share on:
মিরাজ উদ্দিন: মানব জীবনের প্রথম পর্যায় হলো শৈশব। আর শৈশবেই হল মানব জীবনের অন্যতম অধ্যায়। একটি শিশুকে নির্ভরশীল বলে মনে হলেও কিন্তু ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে ওই দেশের শিশুদের উপর। বলা হয় আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ দুর্ভাগ্যবশত প্রতিটি শিশু শ্রমিক শিক্ষার কোন সুযোগ পায় না।
বিভিন্ন অপব্যবহারে তার অন্যতম অপব্যবহার হলো শিশুশ্রম। যেকোনো কাজ একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায় তাকে শিশুশ্রম বলা হয়। আমাদের দেশে সরকারের নির্দেশ মতে ১৪ বছরের নিচে সবাইকে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবার ওই অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল। এইসব পরিবারের শিশুরা ছোটবেলা থেকেই উপার্জনের চিন্তা করতে হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও দেখা যায়, তিনশ এক ধরনের অনৈতিক কাজ কর্মে শিশুরা শ্রম দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদের মধ্যে রয়েছে কুলি, হকার, ফুল বিক্রেতা, ইট ভাঙ্গা, কল কারখানার শ্রমিক ইত্যাদি। শিশুশ্রমকে দরিদ্রের ফসলও বলা হয়। পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে তারা স্বেচ্ছায় পথ বেছে নেয়।
ইউনিসেফ পরিচালিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শ্রমজীবী শিশু পারিবারিক দূরাবস্থার কারণে শহুরে হয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই শিশুরা পরিবারের শিক্ষা সম্পর্কে অসচেতনতা।অর্থের মোহ অভিভাবকদের নৃশংস আচারণ একটি শিশুকে শ্রমজীবী হতে বাধ্য করে। তাছাড়াও সামাজিক বিপর্যয়, সাম্প্রদায়িকতা এবং অন্যান্য নানা কারণে শিশুরাই অল্প বয়সে শ্রমে লিপ্ত হয়।
বাংলাদেশের শ্রম বাজারের শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এভাবে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পুরো দেশ ও জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। যেহেতু শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার, তাই শিশুদের শ্রম থেকে মুক্তি দিয়ে শিক্ষায় আলোকিত করতে হবে। কবি সুকান্তের ভাসায় এসেছে।
নতুন শিশু....
তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থানে।
এ বিশ্বের শিশুর......
বাসযোগ্য করে যাবো আমি
নব।
লেখক: শিক্ষার্থী, কবি নজরুল সরকারি কলেজে।
এইচএন