tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১৫ জানুয়ারী ২০২২, ১৮:৪৫ পিএম

টাঙ্গাইল-৭, উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস


উপনির্বাচন.jpg

আগমীকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।


আগমীকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।

নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা),

জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙ্গল),

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি),

বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং

স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটর গাড়ি)।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮ জন। এ ছাড়াও পাঁচজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

মির্জাপুর আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৫৭টি, সাধারণ কেন্দ্র ৬৪টি। আর নির্বাচনে ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৫৬টি।

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার সদস্য মিলে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে র‍্যাব এবং ডিবির টিমও কাজ করবে।

এ ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে মাঠে কাজ করছে ৪ প্লাটুন বিজিবি।

নির্বাচনের বিষয়ে সাধারণ ভোটাররা বলেন, এ আসনে মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে। যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার মির্জাপুরে অনেক উন্নয়ন করেছেন।

প্রয়াত সংসদ সদস্য এই আসনকে সাজাতে হাতে নেয়া অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে ও সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে মির্জাপুরের মানুষ বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করবে।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, প্রচারণার সময় মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি তাদের ভোটও আমি পাব বলে আশা করছি।

সেই সঙ্গে আমার একটা ক্লিন ইমেজ রয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষের রায়ে আমি জয়ী হওয়ার বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের রুপা রায় বলেন, যেখানে গেছি সেখানেই মানুষের সমর্থন পেয়েছি। আশা করি একটা অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমিও আশবাদী।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ইভিএমের মাধ্যমে এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটররা যাতে সহজেই ইভিএমে ভোট দিতে পারে সে লক্ষে শুক্রবার সারাদিনই কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক ভোট কার্যক্রম করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এইচএন