পাকিস্তান পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন পাচ্ছে ইমরানের দল
Share on:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় সংসদে ২৩টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এক রায় দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
শুক্রবার (১২ জুলাই) পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দেন।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বলেছেন , রাজনৈতিক দল হিসেবে পিটিআই সংরক্ষিত আসন পাবে। ১৩ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত এই বেঞ্চের ৮ বিচারপতি পিটিআইয়ের পক্ষে এবং ৫ জন বিপক্ষে রায় দেন।
পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার সাংবাদিকদের বলেছেন, পিটিআইকে ২৩টি সংরক্ষিত আসন দেওয়া হলেও সংসদে তাদের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হবে না।
এর আগে, দেশটির নির্বাচন কমিশন জনিয়েছিল, যেহেতু ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছে তাই তারা সংরক্ষিত আসন পাবে না। এর প্রেক্ষিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দিলো।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোটি ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। ৬০টি মাহিল ও ১০টি আসন অমুসলিমদের জন্য বরাদ্দ। জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর জয়ের অনুপাতে এ আসনগুলো বণ্টন করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। সেই কারণে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে, পিটিআই কোনো সংরক্ষিত আসন পাবে না। এই আসনগুলোর বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন জোটের দলগুলোর মধ্যে বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
আদালতের এই রায়ের ফলে ইমরানের সমর্থকদের রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। যদিও পিটিআই এই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করেছে— দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সেনা–সমর্থিত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে।
দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সামরিক বাহিনী এ জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করলে পশ্চিমা বিশ্বে এ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ইসলামাবাদকে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করার আহ্বান জানালেও পাকিস্তান সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ইমরান খানকে ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দেশটির সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করে আসছে।
এসএম