বেড়েছে অন্য মাছের দাম
Share on:
নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় শরীয়তপুরের পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে দেখা মিলছে না ইলিশের। বাজারে ইলিশ না থাকায় আগের চেয়ে বেড়েছে অন্য মাছের দামও। এমনটাই জানিয়েছে আড়তদাররা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) শরীয়তপুরের বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। বর্ষার পানি কমে যাওয়ার কারণে হাওর বাওরের মাছও কমে গেছে।
মাছ বিক্রেতা সুমন বেপারী বলেন, এখন আগের চেয়ে সবকিছুতেই খরচ বেড়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবহন খরচ, বাজারে আড়ৎদারিও বেড়েছে। আবার গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে পদ্মার মাছ আসছে না। মাছের খাবারের দাম বেড়েছে। তাই মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
জেলেদের ভাষ্য- অভিযানের কারণে পদ্মা থেকে মাছ ধরতে না পারায় মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে শরীয়তপুরের বাজারগুলোতে চিতল ৪০০-৪৫০ টাকা, সুরমা ২০০, চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা, পাঙাশ ২৫০ টাকা, কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা ও পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
শরীয়তপুরের ডোমসার বাজারের মাছ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ বেচাবিক্রি হয়েছে। এখন অন্যান্য মাছ বিক্রি করছি। এ ২২ দিন নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকলে সামনে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে। তখন দামও কিছুটা কম থাকবে। তবে এ কয়দিন চাষের মাছগুলোই নিতে হবে ক্রেতাদের।
পালেরচর মাছের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের কোনো সরবরাহ নেই। ব্যবসায়ীরা সাগর ও নদীর বিভিন্ন প্রকার মাছ বিক্রি করছেন। ইলিশ না থাকায় অন্যান্য মাছের সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিনের তুলনায় বাজারে রুই, পাঙাশ, চিতল, কোরালসহ সাগরের বিভিন্ন মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আরিফ হোসাইন বাজারে এসে মাছের দাম বাড়তি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, অভিযানের অজুহাতে বিক্রেতারা মন গড়া দাম নিচ্ছে মাছের।
অন্যদিকে, মাছ ক্রেতা আউয়াল বলেন, শুক্রবার ছুটির দিনে মাছ কেনার উদ্দেশ্যে এসেছিলাম বাজারে। একে তো মাছ নেই তার উপরে দামও বাড়তি।
এনএইচ