কিশোরগঞ্জে হাসিনা-কাদের ও চার এমপিসহ ৮৮ জনের নামে মামলা
Share on:
কিশোরগঞ্জে আগুনে পুড়িয়ে দুজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হাসান পাপন এবং সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও আফজাল হোসেনসহ ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন মো. মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের মিছিল নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জড়ো হন। এ সময় ১ নম্বর থেকে ৯ নম্বর আসামির হুকুমে এবং প্ররোচনায় সব আসামি বেআইনিভাবে দা-রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রেলবোমা, ককটেল, পাইপগান, শর্টগান, পিস্তল ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে হামলা করে।
হামলায় আসামি রাসেল আহমেদ তুহিন, শফিকুল আলম, শফিকুল ইসলাম লিমন ঢালী, আল জুবায়েদ খান নিয়াজ, মাহফুজ, ফয়েজ ওমান খান, সাইফুল ইসলাম অপু, মাজহারুল ইসলাম মাসুদ, তৌফিক, সানা, মুরসালিন খান, তাজবীর, সুমন মোল্লা, আমিনুল ইসলাম বকুল, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু তাদের হাতে থাকা শর্টগান, পাইপগান দিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে সরাসরি গুলি করে।
এতে মামলার বাদীসহ ছাত্র-জনতা আহত হয়ে জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে থাকেন। পরে পার্শ্ববর্তী খরমপট্টি সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসার ভেতরে ও সামনের রাস্তায় আশ্রয় নেন। মিছিলকারীরা ওই বাসায় অবস্থান করছে- এমন খবরে ১০ নম্বর আসামি থেকে সব আসামি অস্ত্র নিয়ে বাদীসহ ছাত্র-জনতার পিছু ধাওয়া করে।
এছাড়াও ১১ ও ১২ নম্বর আসামির হাতে থাকা কন্টেইনার থেকে পেট্রল ঢেলে দেয় এবং ১১ নম্বর আসামি ওই বাসায় আগুন দেয়। এ সময় বাসায় থাকা জুলকার হোসাইন (৩৮) ও অঞ্জনা (২৮) পুড়ে মারা যান।
এফএইচ