যে কারণে পিপি পদে যোগদান করছেন না এহসানুল হক সমাজী
Share on:
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে যোগদান করছেন না অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। পেশাগত মর্যাদাকে বজায় রাখার স্বার্থে ও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে তিনি এ পদ ছাড়ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এহসানুল হক সমাজীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরে গতকাল বুধবার এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দুপুরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সাধারণ আইনজীবীর ব্যানারে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে অবিলম্বে এহসানুল হক সমাজীর নিয়োগ বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানান। তা না হলে তাকে এ দায়িত্বপালন করতে দেওয়া হবে না মর্মে হুমকি প্রদান করেন। তারা সমাজীকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেতাত্মা বলে অভিহিত করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুবিধা দেয়ার জন্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
এ সমাবেশে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপি দলীয় সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। আজ সকাল ৯টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
বিগত ওয়ানইলেভেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এহসানুল হক সমাজী ২ বছর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ পান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আব্দুল্লাহ আবু আর আদালতেই আসেননি।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।
এনএইচ