সাকিবকে বিরতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ: সুজন
Share on:
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা আরও বেশি কঠিন। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (ফ্রাঞ্জাইজি, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে) খেলেন তিনিই। এর বাইরে তার স্ত্রী-সন্তানরা থাকে যুক্তরাষ্ট্রে।
করোনা মহামারি আসার পর থেকে পেশাদার ক্রিকেটারদের জন্য নিয়মিত খেলে যাওয়াটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যারা সারাবছরই বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে খেলে বেড়ান।
কারণ, প্রতিটি সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে কোয়ারেন্টিন এবং বাকিটা সময় বায়োবাবলের মধ্যে থাকতে হয়। সবসময় পরিবারকেও সঙ্গে রাখা যায় না। ফলে শারীরিক ধকলের পাশাপাশি মানসিকভাবেও এটা প্রভাব ফেলে।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা আরও বেশি কঠিন। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (ফ্রাঞ্জাইজি, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে) খেলেন তিনিই। এর বাইরে তার স্ত্রী-সন্তানরা থাকে যুক্তরাষ্ট্রে।
ফলে সেখানেও যেতে হয়। যার কারণে গত দুই বছরে সাকিবকে বেশ কয়েকবার ছুটি নিতে হয়েছে। এবার জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও সাবেক এই অধিনায়ককে মাঝেমধ্যে বিরতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘সাকিবের ইস্যুটা আমরা সবাই যদি ওইভাবে চিন্তা করি, সে কিন্তু আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে। বায়োবাবল ফ্যাক্টরটাও ওর জন্য অনেক বেশি হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, সাকিব তিন ফরম্যাটই খেলুক। তারপরও ওর সঙ্গে যদি বসি, একটু কথা বলি, কোন ট্যুরগুলো গুরুত্বপূর্ণ না বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে নেই কিংবা ওয়ানডেতে পয়েন্ট নেই। ওইগুলোতে যদি আমরা ওকে বিরতি দেই, এটা কোনো সমস্যা না।’
এর আগে গত ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছিলেন, তিনি এখন থেকে বেছে বেছে ম্যাচ খেলবেন। অর্থাৎ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা ওয়ানডে সুপার লিগের মর্যাদাপ্রাপ্ত ম্যাচগুলোই কেবল তিনি খেলতে চান।
বাকিগুলোতে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে কম। তাই সুজনের মতে, এ ব্যাপারে সাকিবের আগে থেকেই আলোচনা করে নেওয়া উচিত। তাহলে দল গঠন করতে সহজ হবে।
এইচএন