উ. কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ককে ‘উচ্চ স্তরে’ নিয়ে যেতে চান পুতিন
Share on:
ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ করার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ এই দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে পিয়ংইয়ং সফরের আগে উত্তর কোরিয় নেতাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এবারের সফরটি দুই দেশের সম্পর্ককে ‘উচ্চ স্তরে’ উন্নীত করবে উল্লেখ করে রাশিয়ান নেতা বলেছেন, এটি দুই মিত্রের মধ্যে ‘সমান সহযোগিতা’ বিকাশে সহায়তা করবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দুই দেশ ঐতিহাসিক মিত্র। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। যদিও পুতিন ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে আন্তর্জাতিকভাবে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাই এখন বন্ধুরাষ্ট্রের শরণাপন্ন হচ্ছেন।
গত মাসে পেন্টাগন দাবি করেছিল যে, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণে তা প্রমাণিত হয়েছে।
এরপরই উত্তর কোরিয়ায় পুতিনের এই সফর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এদিকে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া সফরের আগে পিয়ংইয়ংয়ের প্রশংসা করে কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির এক নিবন্ধে পুতিন লিখেছেন, ‘ইউক্রেনে পরিচালিত রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে উত্তর কোরিয়া দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে, এ জন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মস্কো ও পিয়ংইয়ং এখন সক্রিয়ভাবে বহুমুখী অংশীদারিত্বের বিকাশ করছে।’
পুতিন সর্বশেষ ২০০০ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর উ. কোরিয়া সফর করেন। তখন উ. কোরিয়ার নেতা ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পিতা কিম জং ইল।
এবারের সফরটি দুই দেশের সম্পর্ককে ‘উচ্চ স্তরে’ উন্নীত করবে উল্লেখ করে রাশিয়ান নেতা লিখেছেন, এটি দুই মিত্রের মধ্যে ‘সমান সহযোগিতা’ বিকাশে সহায়তা করবে।
উভয় দেশই বর্তমানে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। উত্তর কোরিয়া রয়েছে ২০০৬ সাল থেকে নিষিদ্ধ পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য, আর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য।
পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাপ, উস্কানি, ব্ল্যাকমেল এবং কয়েক দশক ধরে চলে আসা সামরিক হুমকি সত্ত্বেও, অত্যন্ত কার্যকরভাবে উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের প্রশংসা করেছেন।
তিনি মস্কো এবং পিয়ংইয়ংকে একই ধারা বজায় রাখার জন্য এবং জাতিসংঘের বিরুদ্ধে তার দেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা করেছেন। সূত্র- হুরিয়েত ডেইলি নিউজ।
এনএইচ