সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার সুযোগ নেই: ইসি আলমগীর
Share on:
ইসি আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনী হলো দেশরক্ষার কাজে নিয়োজিত বাহিনী। আমাদের সিভিল প্রশাসনের কোনো কাজে যখন প্রয়োজন হয় তখন তাদের আমরা আহ্বান করি। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এ সব কথা বলেন।
আলমগীর বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) একটা জিনিস বুঝতে হবে, যার হাতে অস্ত্র থাকে তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়ার সুযোগ নেই। বিচার এবং অস্ত্র একসঙ্গে থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, এখনো না, পূর্বেও না। আন্তর্জাতিক, স্থানীয়ভাবেও না বা সরকারের পক্ষ থেকেও না। কোনো পক্ষ থেকে চাপ নেই। আমরা আমাদের বিবেকের চাপের কাছে আছি। এ চাপটি হলো আমরা একটি সুষ্ঠু, ন্যায্য, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি করার জন্য বর্তমানে যে নিয়ম পরিচালিত আছে, আগে থেকে যে নিয়ম পরিচালিত আছে সেটা অব্যাহত থাকবে।
আমরা নতুন করে সেখানে পক্ষে বা বিপক্ষে কোনোটাই বলিনি। আমরা শুধু বলেছি, আমাদের নির্বাচনী আচরণবিধিমালা আছে এবং আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আইন) নির্বাচনী অপরাধগুলো আছে, সেই অপরাধের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নেওয়া যাবে না।’
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম