ঢাবিতে একদিনে ৮৬ লাখ টাকা গণত্রাণ সংগ্রহ
Share on:
বন্যার্তদের জন্য গণত্রাণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মোট ৮৬ লাখ টাকা ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। শেষ এক ঘণ্টায়ই সংগ্রহ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি লিখেছেন, ‘টিএসসিতে গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি থেকে আজ রাত ৮টা পর্যন্ত ছিয়াশি লক্ষ বাইশ হাজার একশো বাহাত্তর টাকা নগদ সংগ্রহ করা হয়েছে। শেষ এক ঘণ্টায় সংগ্রহ ১৫ লাখ টাকা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে টিএসসির ফটকে স্থাপিত বুথে ত্রাণ সংগ্রহ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন পরিবহনে করে বন্যার্তদের জন্য খাবার, জামা-কাপড়, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসছেন। অসংখ্য মানুষ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে এসেছেন। তাছাড়া বিকেলে বিজিবির একটি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে ত্রাণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সংগ্রহে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে বিরামহীনভাবে কাজ করতে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে ত্রাণের বহর খালি করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের এসব তদারকি করতে দেখা যায়। দিনভর বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী আসায় টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া ও গেমস রুম বিকেলেই পূর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে টিএসসির বারান্দায় ত্রাণ সামগ্রী স্তূপ করে রাখা শুরু হয়।
টিএসসিতে নগদ অর্থের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী জমা পড়েছে। সেগুলো জমা করায় টিএসসির ক্রীড়াকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া বিশাল ত্রাণভান্ডারে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ প্যাকেটজাত করার কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা ত্রাণ নির্ধারিত বস্তায় ভর্তি করছেন। রাতে ট্রাকে করে সেগুলো পাঠানো হবে দুর্গত এলাকায়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী জমা পড়ে। সেই সঙ্গে জমা হয় ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৩ টাকা। দিনভর ত্রাণ সংগ্রহের পর রাতে কয়েকটি ট্রাকে করে সেগুলো দুর্গত এলাকায় পাঠানো হয়।
এফএইচ