tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলাধুলা প্রকাশনার সময়: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৯ পিএম

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ


ffice-20231215184625

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে বাংলাদেশ। সেমিফাইনাল ভারতের দেওয়া ১৮৯ লক্ষ্যে ব্যাট করে বাংলাদেশ।


শুক্রবার(১৫ডিসেম্বর) সেমিফাইনালে মুখমুখি হয় বাংলাদেশ- ভারত, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ শিরোপাও ভারতের(৮ বার)।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত কে ৪ উইকেট আর ৪৩ বল হাতে রেখে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে টাইগার যুবারা।

বাংলাদেশের লক্ষ্য খুব বড় না হলেও একটু দুশ্চিন্তা ছিলই। ১৮৯ তাড়া করতে নেমে যে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল যুবা টাইগাররা।

তবে সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম খেললেন চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। শুরুতে ইনিংস মেরামতে মনোযোগ দিলেন, সেট হয়ে মাঠ গরম করলেন চার-ছক্কায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে থাকার সময় ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।

তবে আরিফুল ফিরলেও তখন জয় বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষদিকে অবশ্য ভারত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নেয়। নাহলে বাংলাদেশের জয়টা আরও বড় হতে পারতো।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল যুবা টাইগাররা। প্রথম ওভারেই রাজ লিম্বানির বলে বোল্ড হন ওপেনার জিসান আলম। গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) ফেরেন তিনি।

১৯ বলে ১৩ করে নামান তিওয়ারির শিকার হন চৌধুরী মো. রিজওয়ান। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির ওপর ভরসা ছিল। কিন্তু ২২ বলে ৭ করে রানআউটে কাটা পড়েন এই ওপেনার।

সেখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের ১৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচ জেতা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। এ জুটিতে মূল ভূমিকা আরিফুলেরই। তবে ৯০ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৯৪ রান করে ভারতীয় পেসার রাজ লিম্বানিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই ভুল করেছেন তিনি। ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।

এরপরই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হন মোহাম্মদ শিহাব (৭ বলে ৯) আর শেষদিকে এসে উইকেট বিলিয়ে আসেন আরিফুলের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো জুটি গড়া আহরারও। ১০১ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।

এর আগে দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। টাইগার পেসারদের তোপের মুখে শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না ভারতীয় ব্যাটাররা। ৬১ রানে ভারতের ৬ উইকেট তুলে নেন তারা।

শেষদিকে মুশের খান ও মুরুগান অভিশেকের দুই ফিফটিতে সম্মানজনক স্কোরই পেয়ে যায় উদয় শাহারানের দল। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আদর্শ সিং। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ৬ বলে ১ রান করা আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মৃধা।

অধিনায়ক উদয় শাহারানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মারুফ। অর্থাৎ প্রথম তিন উইকেটের তিনটিই শিকার করেন এই বাঁহাতি পেসার।

এরপর দলের হাল ধরান চেষ্টা করেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি শচিন। ২৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৩৬ রানে ছিল না ভারতের ৪ উইকেট।

এরপর প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খানের ২৫ রানের জুটি দলীয় স্কোর ৬১ রানে নিয়ে যায়। ১৬ তম ওভারে জোড়া আঘাতে মলিয়াকে ১৯ রানে ও অ্যারাভেলি আভিনিশকে ০ রানে ফেরান ডানহাতি পেসার বর্ষণ। তখন মনে হয়েছিল ভারতকে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ।

কিন্তু সেটি হতে দেয়নি মুশের ও মুরুগান অভিশেকের করা সপ্তম উইকেটের জুটি। ১০৮ বলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে তিন রান যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।

মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট (৪১ রান খরচায়) শিকার করেন মারুফ মৃধা। ২টি উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।

এসএম