প্রথম দিনেই ২২৭ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
Share on:
সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে আগে ব্যাটিং করে ২২৭ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের পক্ষে মুমিনুল ছাড়া ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আর কেউই।
টানা ৯ ইনিংসে দশের নিচে আউট। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পর মুমিনুল হকের ব্যাট যেন রান কী জিনিস ভুলেই গিয়েছিল। স্বভাবতই একাদশ থেকে জায়গা হারান সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।
তবে মুমিনুলের বদলে যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তারা কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। দুই টেস্ট পর দলে ফিরলেন মুমিনুল, প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোই হলো বলা যায়।কিন্তু মুমিনুলের আক্ষেপ যেন কাটার নয়। ফেরার ম্যাচেই সেঞ্চুরির করার সুবর্ণ সুযোগ হারালেন। দুর্ভাগ্যজনক এক আউটে থামলেন ব্যক্তিগত ৮৪ রানে।
মুমিনুল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংসটা আর এগোয়নি। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৩.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশ দল ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়ে চলছিলো।
কিন্তু ১৫তম ওভারে এসেই ছন্দপতন ঘটলো। কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া জয়দেব উনাদকাটের বলে ক্যাচ তুলে দেন জাকির হাসান। তার ক্যাচটি তালুবন্দী করেন লোকেশ রাহুল। আউট হওয়ার আগে জাকির করেছিলেন ১৫ রান। এর আগে দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ তুলেছিলেন জাকির। মোহাম্মদ সিরাজ সেই ক্যাচ মিস করেন।
পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও এই আউটটি ছিল বিতর্কিত। রিভিউ নেয়ার পর দেখা যায় বলটি অফস্ট্যাম্প হয়তো আলতো টাচ করে যেতো। কিংবা স্ট্যাম্প মিসও করতে পারতো। তবুও ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেয়ার কারনে টিভি আম্পায়ারও সেটিকে আউটই ঘোষণা করেন। ২৪ রান করে ফিরে যান শান্ত।
ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসানও। কিন্তু উমেশ যাদবের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ধরা পড়েন চেতেশ্বর পুজারার হাতে। ৩৯ বল খেলে ১৬ রান করেন তিনি।
এরপর মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিটা আশা জাগাচ্ছিল। দু’জনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৪৮ রানের জুটিও গড়ে ওঠে। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতেই হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলার অভ্যাসটা বের পুরোনো বাংলাদেশের ব্যাটারদের। মুশফিকুর রহিমের মত সিনিয়র ক্রিকেটারও খেই হারালেন। ৩৯ বলে ১৬ রানের একটি ছোট্ট ইনিংস খেলে বিদায় নেন বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক।
এরপর লিটন দাসকে নিয়ে ৪২ রানের একটি জুটি গড়েন মুমিনুল। লিটন ২৫ করে সহজ ক্যাচ হন অশ্বিনকে ফ্লিক করতে গিয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ উইকেটে টিকতে চেয়েছিলেন। তবে ৫১ বল খেলে ১৫ রানে তাকে ফিরতে হয় উমেশের শিকার হয়ে, উইকেটরক্ষকে ক্যাচ দিয়ে।
৬ রান করে নুরুল হাসান সোহান এলবিডব্লিউ হন উমেশ যাদবের বলে। তাসকিন আহমেদের উইকেটটিও নেন ডানহাতি এই পেসার। সবমিলিয়ে মাত্র ২৫ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন উমেশ। ৭১ রানে ৪ উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।
এন