যেকোনো সময় এটা ঘটতে পারে : ইউক্রেন
Share on:
রাজধানী কিয়েভের ওপর রাশিয়া সর্বাত্মক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানান, মস্কোর বাহিনী কিয়েভের ওপর হামরঅর জন্য তাদের সবকিছু জড়ো করতে শুরু করেছে। গ্রাউন্ডওয়ার্ক তৈরীর জন্য কাছের শহরে তাদের ট্যাঙ্ক ও যান্ত্রিক পদাতিক ইউনিটগুলোকে নিয়ে আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, রুশ কমান্ডাররা চেরনোবিল বিশেষ জোনের মাধ্যমে বেলারুশ থেকে আসা জ্বালানি সরবরাহ করছেন।
এদিকে রুশ সামরিক বাহিনী খারকিভ, চেরনিহিব, সুমি ও দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী মাইকোলায়িভ ঘিরে ফেলার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী কিয়েভের উত্তরপশ্চিম দিকের তিনটি শহর বুচা, হোস্টোমেল এবং ইরপিনে অব্যাহতভাবে রুশ বোমাবর্ষণ চলছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কিয়েভে পরিখা খনন করে এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সম্ভাব্য রুশ অগ্রাভিযান ঠেকিয়ে দেবার চেষ্টা করছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলছেন, রুশ সৈন্যরা পশ্চিম ইউক্রেনের ভিনিৎসিয়া বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি আরও হুঁশিয়ার করে দেন যে রুশবাহিনী কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী ওডেসাতে বোমাবর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেশ কিছু দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা খারকিভ শহরে আবারো বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর আসছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে রুশ বাহিনী এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওডেসাতে বোমা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই শহরে বেশ কিছু সামরিক তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাস্তা একেবারে শান্ত এবং জন-মানবহীন।
কৃষ্ণসাগরের তীরের এই ঐতিহাসিক শহরে প্রায় দশ লাখ মানুষ থাকে। ওডেসা বন্দর মলদোভা সীমান্তের বেশ কাছে। শহরের একজন কর্মকর্তা মাইখাইলো শুমুশকোভিচ বলছেন, এর মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। তবে তিনি বলছেন, তারা লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত। সূত্র : বিবিসি
এমআই