রাশিয়ানদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঠেকাতে দরজা বন্ধ করল ফিনল্যান্ড
Share on:
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ বাহিনী তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই নির্দেশনা মেনে নাগরিকদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা শুরু করেছে মস্কো। আর এ নিয়েই তৈরি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে রাশিয়ায়। সেনাবাহিনীতে যোগ না দিতে দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। তল্পিতল্পা বেঁধে জর্জিয়া ও ফিনল্যান্ডের দিকে যাচ্ছেন তারা।
জর্জিয়ায় ঢুকতে রুশ নাগরিকদের আলাদা করে কোনো ভিসা নিতে হয় না। অন্যদিকে রাশিয়ানদের সহজে ভিসা দেয় ফিনল্যান্ড। সে কারণেই এই দুই দেশে ঢুকতে চাইছেন রুশ নাগরিকরা। হঠাৎ রুশ নাগরিকদের ফিনল্যান্ডে প্রবেশের হিড়িক পড়ায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটি। বাধ্য হয়ে রাশিয়ানদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে লাগাম টেনেছে সে দেশের সরকার।
রুশ নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার নির্দেশনা জারি করেছে ফিনল্যান্ডের সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে রুশ নাগরিকদের টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হবে না। ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তো বলেন, রুশ পর্যটকদের না আটকালে ওই দেশ থেকে এখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাবে না। অনুপ্রবেশ বেড়ে গেলে দেশে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জর্জিয়া সীমান্তের কাছে লম্বা গাড়ির লাইন দেখা গেছে। দেশটির মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপে যেতে চাইছেন রুশ নাগরিকদের একটি বড় অংশ। এদের অধিকাংশই বয়স্ক নাগরিক বলে জানা গেছে। জর্জিয়া সীমান্তে ‘দেশত্যাগী’ রুশ নাগরিকদের হুড়োহুড়ি পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জর্জিয়া নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়েছে বলেও একাধিক পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। প্রাথমিকভাবে কিছু সাফল্য পেলেও এই যুদ্ধে হাজার হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে একাধিক পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম। এ অবস্থায় রিজার্ভ বাহিনী তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের সেই নির্দেশের পরই জোর করে রুশ যুবকদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা শুরু করে মস্কো। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বহু রাশিয়ান। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে রাজি নন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ফলে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। ইতোমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। সে কারণেই শুরু হয়েছে রাশিয়া ছাড়ার হিড়িক।
এমআই