ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত
Share on:
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরবর্তী নতুন কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী ওলামা দল কেন্দ্রীয় কমিটির নামে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।’
২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক এবং অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন ও কাউন্সিল করে কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে- এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয় তাতে।
সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, ওলামা দলের আহ্বায়ক নেছারুল হক সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদারকে অনুপস্থিত দেখিয়ে অন্য একজনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। নজরুল ইসলাম তালুকদার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে মাওলানা নেছারুল হক অন্য একজনকে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করেছেন। এছাড়া তিনি স্বজনপ্রীতি এবং আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বেশ কয়েকজনের পদায়ন করেছেন। আমি এ সংক্রান্ত অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মাওলানা নেছারুল হক বলছেন আমাকে নাকি তিনি পাচ্ছেন না। অথচ আমি আন্দোলন-সংগ্রামের সব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছি। ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো রদবদল করতে হলে সেটা বিএনপি করবে, এটা করার এখতিয়ার তার নেই।’
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করার প্রক্রিয়াটা গঠনতান্ত্রিক হয়নি।
তবে মাওলানা নেছারুল হক বলেন, ‘আমি নজরুল ইসলাম তালুকদারকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আন্দোলনের এই কঠিন সময়ে আহ্বায়ক সদস্য সচিবের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকা উচিত, যোগাযোগটা বেশি থাকা উচিত, প্রতিদিন কথা হওয়া উচিত। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি, ফোন বন্ধ। ওনার ভাইকে কল দিয়েছিলাম, তিনি বলেছেন যে নজরুল ইসলাম তালুকদার এই দমন-পীড়ন পরিস্থিতির মধ্যে রাজনীতি করবেন না। এখন ওই পরিস্থিতিতে সংগঠন চালিয়ে নেওয়ার জন্য একজনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নজরুলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি, বহিষ্কার করা হয়নি।’
এতে বিএনপির অনুমোদন নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, কোনো অনুমোদন নেইনি। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আসলে তাকে আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ওই পরিস্থিতিতে আমার সংগঠন চালানোর জন্য এর বিকল্প ছিল না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) জেলে যখন যান, ওই সময় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়েছিল।’
এসএম