১ জুন পদ্মা সেতুতে আলো জ্বলবে
Share on:
বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ১ জুন (বুধবার) পরীক্ষামূলকভাবে আলো জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির ৪১টি পিলারের ওপর বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দিয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রথম পিলার থেকে ৩ দশমিক সাড়ে ৭ কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন সংযুক্ত করে দিয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং জোনাল অফিস (পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি)।
আর শরীয়তপুরে জাজিরা নাওডোবা প্রান্ত থেকে বাকী ৩ দশমিক সাড়ে ৭ কিলোমিটার সেতুতে অর্ধেক বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। তবে তার আগেই সেতুতে আলো জ্বালানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
পল্লী বিদ্যুৎ জানিয়েছে, আগামী ১ জুন থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে আলো ঝলমল করে উঠবে সেতু। গতকাল রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ ও পরিচালন) দেবাশীষ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, আমাদের গর্বের এই সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি স্বপ্নের সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করেছে। এটা আমাদের কাছে খুব আনন্দ লাগছে।
এদিকে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, গত ২৪ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা প্রান্তো ৪৬ নম্বর খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ শেষ হয়।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে রয়েছে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথে (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি এবং মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে বসানো হয়েছে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট।
গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে ক্যাবল টানা হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে উদ্বোধন করে তিনি সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আসবেন। জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজায় উদ্বোধনী কাজ শেষ করে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এমনটা ধরে নিয়েই সে লক্ষ্যে কাজ করছে সেতু বিভাগের স্থানীয় প্রশাসন। সেতু বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা সেতুর জাজিরা প্রান্তের বিভিন্ন স্থান ও কাঁঠালবাড়ী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মাণ করা হচ্ছে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে। দুটি ম্যুরালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতী থাকবে।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ, বাতি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তাতে বিদ্যুত্সংযোগ দেওয়ার কাজ হয়েছে। এ ছাড়া সেতুতে সাইন, সংকেত ও মার্কিং বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। সেতুর সীমানা দেওয়ালের ওপর স্টিলের রেলিং বসানোর কাজ চলছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য সেতুর দুই প্রান্ত প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এইচএন