যেসব শর্তে বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন সরকারি কর্মকর্তারা
Share on:
চারটি ক্ষেত্রের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের ওপর বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচিতে বিদেশ যেতে পারবে। তবে এক্সপোজার ভিজিট, স্ট্যাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশন এর আওতা ভুক্ত সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। সোমবার অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
ওই চিঠিতে বলা হয়, স্কলারশীপ ও ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাষ্টার্স বা পিএইচডি কোর্সে অধ্যায়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এই ফেলোশিপ বা স্কলারশীপ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশ কর্তৃক হতে পারে। অর্থায়ন পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেটের আওতা সরকারি ভাবে হতে পারে।
সেখানে আরও বলা হয়, সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির আওতায় পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া বিদেশী সরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ন অর্থায়নে আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন সরকারি কর্মকর্তারা।
ওই চিঠিতে সর্বশেষ শিথিলকরণ শর্তে বলা হয়, কোন সরবরাহকারী, ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সেবা ও পণ্যের গুনগতমান নিরীক্ষা এবং পরির্দশনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে।
এর আগে গত ১২ মে থেকে ‘পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ সীমিতকরণ’ শীর্ষক একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
ওই পরিপত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এমআই